সমস্যাটি নতুন নয়। বাংলাদেশ দলের বিভিন্ন বিভাগে একদিকে উন্নতি থাকলেও অন্যদিকে দুর্বলতা রয়ে যাচ্ছে। এভাবেই প্রতিদিন পার হয়ে যাচ্ছে সময়। শেষ পর্যন্ত টানা দুই হারে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্ন ভেঙে গেছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি এখনও বাকি থাকলেও, ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারতের পর নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল নিশ্চিত করায় এখন বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি আর কোনো গুরুত্ব বহন করছে না। এই ম্যাচটি এখন একপ্রকার ‘ডেড রাবার’ হয়ে গেছে।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের ভালো অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন কোনও সমাধান খুঁজে পাননি। রাতের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, "দল হিসেবে প্রতিটি বিভাগে ভালো করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিন ব্যাটিং ভালো হচ্ছে ওপরে, অন্যদিন ভালো হচ্ছে মাঝখানে বা ফিল্ডিংয়ে। মোট কথা, পরিস্থিতি এলোমেলো। বড় দলের বিপক্ষে জয় এবং এমন টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে সম্মিলিত পারফরম্যান্স প্রয়োজন।"
বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন আনার পক্ষে ছিলেন নাজমুল। তিনি বলেন, "আসলেই আমরা ব্যাটিং বিভাগে ব্যর্থ হচ্ছি। অনেক উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আমরা একাধিকবার একই ভুল করে চলেছি, তাই উন্নতির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এই টুর্নামেন্টের পর কিছু পরিবর্তন আনা হবে।"
তিনি আরও জানান, সেই পরিবর্তন খেলোয়াড় বদলানোর বিষয়ে নয়। তিনি জানান, "আমি খেলোয়াড় বদলাতে বলিনি, বরং আমাদের চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে, এবং এই জায়গায় আরও উন্নতি করতে হবে। খেলোয়াড় বদলানোর ফলে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যাবে, তাই আমাদের যে রিসোর্স রয়েছে, সেটাকেই সুযোগ দিতে হবে।"
নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আরেকটি বড় সমস্যা উন্মোচিত হয়েছে, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের ডট বল খেলার প্রবণতা। ৫০ ওভারে ৩০.১ ওভার ডট বল খেলে বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ কার্যত হারিয়ে যায়। নাজমুল বলেন, "এখানে অবশ্যই উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আমরা নিয়মিত ৩০০ রান করি না, এটা সত্যি। তবে আজকের ম্যাচে ডট বলের কারণ ছিল, উইকেট পতনের পর স্ট্রাইক রোটেট করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বড় পার্টনারশিপ হলে হয়তো ডট বল খেলার সংখ্যা কমানো যেত।"
Comments
Post a Comment