Skip to main content

নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা

নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের জালিয়াল গ্রামে মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে দুর্বৃত্তদের হামলায় তাছলিমা বেগম রোজি নামে এক নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার আমিন আলীর মেয়ে এবং এক সন্তানের জননী ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোজি তার বাবার বাড়ির একটি ঘরে একা থাকতেন। সন্ধ্যায় তিনি বাসায় ফিরে রাত ৯টার দিকে তার ঘর থেকে অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তারা দ্রুত ঘরে প্রবেশ করলে রোজিকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। পাশেই ছিল একটি রক্তমাখা ধামা। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের মো. তারেক নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যু হয়েছে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

Trending News Bangladesh


মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, আজ ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান।

দ্রুত স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার দাফন ও শেষকৃত্য বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ পথচলা

আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ছাত্র ও শ্রমিক আন্দোলনের নেতা থেকে রাজনীতির শীর্ষে

১৯৪৫ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। ষাটের দশকের শুরুতে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরোধিতা করতে গিয়ে যুক্ত হন ছাত্র আন্দোলনে।

এরপর মেননপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ছাত্রজীবন শেষে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন। পূর্ববাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

একই সঙ্গে গোপনে ভাসানীপন্থি ন্যাপের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন এবং ১৯৭০ সালে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিক

১৯৭১ সালে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধশেষে পুনরায় ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আহ্বানে ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।

আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় থাকবে।

Comments

Popular posts from this blog

বৈষম্যবিরোধী নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ শুক্রবার হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ওই দিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে, জাতীয় সংসদ ভবনের প্রাঙ্গণে তরুণদের নতুন দলের ঘোষণা দেওয়া হবে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায়, রাজধানীর বাংলা মোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়ে, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা সময়ের দাবি। অভ্যুত্থান পরবর্তী এই সাত মাসে আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানা গেছে, ৫ আগস্ট যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, সেটি বাস্তবায়ন করতে একটি দীর্ঘ লড়াই প্রয়োজন। আমাদের বিশ্বাস, শহীদের রক্ত ও ভাইবোনের ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উপহার হবে। আমরা সেই লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।” তিনি আরও জানান, “এই লক্ষ্য নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি একত্রিত হয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে মানিক...

১৩ বছরের প্রেমের পর বিয়ে করলেন বাংলাদেশের মেহজাবিন, পাত্র কী করেন?

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী পরিচালক ও প্রযোজক আদনান আল রাজীবের সঙ্গে বিয়ে করেছেন। সোমবার, ঢাকা শহরের কাছাকাছি একটি রিসোর্টে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। এই বিশেষ মুহূর্তের ছবি অভিনেত্রী নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে, যেখানে ভক্তরা তাঁদের সুখী দাম্পত্যের প্রথম glimpse দেখতে পান। ছবিতে মেহজাবিন সাদা লহেঙ্গা পরেছিলেন, যা পুতি ও স্যিকুয়েসের কাজ দিয়ে অলঙ্কৃত ছিল। সোনালী মুক্তো এবং হীরের গয়নাতে তার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। অন্যদিকে, আদনান ছিলেন সোনার বোতাম দেওয়া চকোলেট রঙের শেরওয়ানিতে। প্রেমের ১৩ বছরের যাত্রার কথা শেয়ার করে মেহজাবিন জানান, '৯ এপ্রিল ২০১২-এ এক মিষ্টি হাসির ছেলের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। সেই দিন, শ্যুটিংয়ের সময় আমি বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, আর তিনি রাস্তা থেকে আমাকে দেখে হাত নেড়ে ছিলেন। মাত্র ১৫ মিনিট কথা বলার পর আমরা হাত মিলিয়েছিলাম, কিন্তু ওই মুহূর্তেই আমি অনুভব করেছিলাম, আমার মনের এক টুকরো তার সঙ্গে চলে গিয়েছে।' নায়িকা আরও বলেন, 'তারপর দেখতে দেখতে ১৩ বছর কেটে গেছে। একে অপরের পাশে থেকে আমরা বড় হয়েছি, সাফল্য উদযাপন করেছি, প্রতি...